শিজক ডেস্ক
রাঙামাটি: পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি নারী ও মেয়ের অধিকারকে সম্মান ও সুরক্ষিত করতে এবং জনগোষ্ঠীকে নেতৃত্বদানে সমান অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করতে ‘আদিবাসী নারীর ইশতেহার’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২১ মে) বেলা ২টায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের এনেক্স হল রুমে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়।
এসময় দেবাশীষ রায় বলেছেন, ‘বিগত কয়েক বছরে নারী কার্বারিরা ভূমি প্রশাসন, বিচারিক, বিভিন্ন ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট অবদান রয়েছে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে শিশুর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পারিবারিক এসব ব্যাপারে পুরুষদের চেয়ে নারী কার্বারিরা অনেক বেশি ভূমিকা রাখতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, নারী কার্বারিদের সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতা বাড়াতে হবে। আদিবাসী সমাজে বহুবিবাহ ও বাল্যবিবাহ সচেতনতায় আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিস্ট্রার চালু করে জনসম্মুখে তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন চাকমা সার্কেল চিফ।
এশিয়া প্যাসিফিক ফোরাম অন উইমেন ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এপিডব্লিউএলডি) সহায়তায় সাপোটিং পিপল অ্যান্ড রিবিল্ডিং কমিউনিটিস (স্পার্ক) এবং বাদাবন সংঘ-এ কর্মশালাটি পরিচালনা করে। মানবাধিকার রক্ষাকারী উইমেনিফেস্টো তৈরির লক্ষ্যে তিন দিনের জন্য একত্রিত হয়ে নৈতিক দাবি জানায় পাহাড়ি নারীরা।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরূপা দেওয়ান, সদর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম, গ্রীন হিল’র নির্বাহী পরিচালক টুকু তালুকদার। এছাড়াও প্রথাগত বিচার ব্যবস্থার নারী নেত্রী, নারী উদ্যোক্তা, শিক্ষক, নারীনেত্রী, নারী অধিকারকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।