সোহানুর রহমান, লোকাল করেসপন্ডেন্ট
দীঘিনালা: পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারী নাগরিকদের সুপেয় পানির সংকট দিন দিন তীব্র আরও হচ্ছে। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালার উচু এলাকাগুলোতে আগে ভূগর্ভস্থ পানিস্তর অনেক ওপরে ছিলো। এখন অনেকটাই নিচে নেমে যাওয়ায় খাবার পানির সংকট দিন দিন বাড়ছে। এ নিয়ে এসব এলাকার অন্তত ৬০ শতাংশ মানুষ পান উপযোগী পানি নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন।
তবে এ সংকট নিরসনে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে। পাহাড়ি এলাকায় ঝিরি ও গাছপালা কমে যাওয়ায় উঁচু এলাকা ও দুর্গম এলাকাগুলোতে খাবার পানির সংকট বাড়ছে। ইতোমধ্যে এ সকল এলাকা চিহ্নিত করে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সংকট নিরসনের কাজ চলমান রয়েছে।
সম্প্রতি উপজেলার জামতলী বাঙালিপাড়া এলাকায় গত ২০২০- ২১ অর্থবছরে ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে শতাধিক পরিবারের খাবার পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। কাজ শেষে শুক্রবার (১৬ জুন) এলাকাটিতে ‘৫৮ গ্রাম খাবার পানি সরবারহ প্রকল্পের’ উদ্বোধন করে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
উদ্বোধনকালে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, ‘এলাকার মানুষের চাহিদা থাকায় আমরা সরকারিভাবে এ কাজটি বাস্তবায়ন করেছি। তবে কাজটি করতে আমাদের অনেক সময় লেগেছে। খাবার উপযোগী পানির সন্ধানে আমরা কয়েকবার পদক্ষেপ নিয়েও কোন কাজ হয়নি। এ কারণে কাজটি বুঝে পেতে সময় লেগেছে। সর্বশেষ চলতি বছরের মে মাসে আমরা সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে পেরেছি।’
জামতলী এলাকার বাসিন্দা মো. শোমেশ খান, মো. রফিক হোসেন, আল-আমিন জানান, ‘কাজটি দেরিতে হলেও সুন্দর কাজ হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করায় এলাকার শতাধিক পরিবারের খাবার পানির ব্যবস্থা হয়েছে।’ স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আগে ভূগর্ভস্থ পানিস্তর অনেক উপরে ছিল। এখন অনেকটাই নিচে নেমে যাওয়ায় খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
এ প্রকল্পের আওতায় একটি পাম্প হাউস, দুইটি মোটর ও বৈদ্যুতিক মিটার প্রকল্প পরিচালনা কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়। এসময় দীঘিনালা উপজেলা জনসাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম সরকার, ৫৮ গ্রাম খাবার পানি প্রকল্পের সভাপতি মো. রফিক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. শোমেশ খান, প্রকল্পের ঠিকাদার আওলাদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।