শিজক রিপোর্ট
এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করলেন পাহাড়ের বীরকন্যা ও জাতীয় নারী ফুটবল দলের কৃতী খেলোয়াড় ঋতুপর্না চাকমা। ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় তিনি কৃতকার্য হয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষাজীবন পাড়ি দিলেন। পাহাড়ি জেলা রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের মগাইছড়ি গ্রামের মেয়ে ঋতুপর্ণা চাকমা। ঋতুপর্ণা চাকমার বাবা নেই, মায়ের কষ্টের সংসারে তার বেড়ে ওঠা।
ঋতুপর্না চাকমা ছাড়াও এবারের উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় পাস করেছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের আরও দুনজন ও নারী ফুটবল ক্যাম্পের এক সদস্য। তারা হলেন- রেহেনা, আঁখি খাতুন ও শামসুন্নাহার। চার ফুটবলারের মধ্যে ঋতু, আঁখি ও শামসুন্নাহার জাতীয় দলের খেলোয়াড়। রেহেনা খেলেন অনূর্ধ্ব-২০ দলে।
চার নারী ফুটবলারের মধ্যে শামসুন্নাহার ছাড়া বাকিরা পরীক্ষা দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) থেকে। চারজনের মধ্যে ৪ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট পেয়েছেন রেহেনা। ঋতুপর্না ও আঁখি পেয়েছেন ৪ দশনিক ৫০ আর শামসুন্নাহার পেয়েছেন ২ দশনিক ৫৮। ফুটবল খেলার পাশাপাশি তারা চারজন নিজেদের লেখাপড়াটাও সমানভাবে চালিয়ে নিয়েছেন বলেই সফল হয়েছেন এমনটাই বলছেন তাদের শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
ঋতুপর্না চাকমার গড়ে ওঠার পেছনে যে কজন মানুষের অবদান রয়েছে; তার মধ্যে অন্যতম রাঙামাটির ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দ্রা দেওয়ান। তিনি বলেন, ঋতুপর্না চাকমা এইচএসএসি পরীক্ষায় কৃতীত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছে। এটা আমাদের জন্য খুশির খবর, সে ভালো পাস করেছে। এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেছিল ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে।
নারী ফুটবলাররা বছরব্যাপীই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনের ক্যাম্পে থেকে অনুশীলন করেন। খেলা ও অনুশীলনের ফাঁকে ফাঁকে তারা লেখাপড়া করেন। মাঠে তারা যেমন ভালো ফুটবল খেলেন, তেমন ভালো পড়াশুনাতেও। খেলার ব্যস্ততার মাঝে পরীক্ষা দিয়ে পাস করে নিজেদের মেধার পরিচয়ও দিয়েছেন তারা।