বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’: ঝুঁকিতে থাকাদের নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ

শিজক রিপোর্ট
রাঙামাটি: পাহাড় ধসের আশঙ্কা থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। শনিবার (১৩ মে) বিকালে জেলা শহরের রূপনগর, শিমুলতলীসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করে স্থানীয়দের নিরাপদ আশ্রয় নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ও পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ।

এসময় জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, “ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে রাঙামাটিতে ভারী বৃষ্টি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টিপাতের প্রভাবে পাহাড় ধসের আশঙ্কা থাকায় পাহাড়ের ঢালে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের নিরাপদে আশ্রয় নিতে কিংবা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হচ্ছে।”

পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, “ঝুঁকিতে থাকাদের নিরাপদে সরে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে। আগামীকাল (রোববার) সকালের মধ্যেই তারা নিরাপদ আশ্রয় নেবেন; অন্যথায় আমরা আইন প্রয়োগ করে হলেও তাদের সরিয়ে নেবে। কেননা জীবনের চেয়ে মূল্যবান কিছু নেই।”

পাহাড় ধসের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শনকালে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমা বিনতে আমিন, কোতোয়ালি থানার ওসি আরিফুল আমিন, কাউন্সিলর রবিমোহন চাকমাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে ভারী বর্ষণের ফলে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় পাহাড় ও ভূমি ধসের আশঙ্কা রয়েছে। এমতাবস্থায় রাঙামাটিতে ঝুঁকিতে থাকাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন।

অন্যদিকে, আজ শনিবার দুপুরে এক জরুরি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে সকল ধরণের নৌ-যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে রাঙামাটি ভয়াবহ পাহাড় ধসে ৫ সেনাসদস্যসহ ১২০ জনের প্রাণহানি ঘটে। এর পরের বছর জেলার নানিয়ারচরে পাহাড় ধসে মারা যান আরও ১১ জন।

সম্পর্কিত খবর

সোশ্যাল মিডিয়া

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ খবর