লোকাল করেসপনডেন্ট
কাপ্তাই: রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের কয়লার ডিপু এলাকার ঐতিহ্যবাহী হরি মন্দিরের সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব ও শ্রী শ্রী হরি বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী নানা মাঙ্গলিক কর্মসূচি বুধবার (১ মার্চ) থেকে মন্দির প্রাঙ্গনে শুরু হয়েছে।
সুর্বণ জয়ন্তী উৎসবকে ঘিরে মন্দিরসহ এর আশেপাশের এলাকায় বৈদিক যুগের নানা দেবদেবীর মূর্তি প্রতিষ্ঠা এবং বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। উৎসবকে ঘিরে হাজারও ভক্তের আনাগোনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে উৎসবস্থল।
এদিকে, এদিন বিকেল সাড়ে ৫টায় খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার প্রধান অতিথি হিসেবে ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, ‘ধর্ম মানুষকে আলোর পথ দেখায়। সকল ধর্মই মানুষকে হিংসা নিন্দা ভুলে মানবিক মানুষ হতে শেখায়।’
দীপংকর বলেন, ‘কেপিএম কয়লার ডিপু হরিমন্দিরের ৫০ বছর পূর্তি উৎসব অত্যন্ত আনন্দের এবং গর্বের। বর্তমান সরকারের আমলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মঠ ও মন্দিরের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় কেপিএম মন্দিরেও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয়েছে এবং আগামীতেও চলমান থাকবে।’
এর আগে তিনি মন্দিরের ‘সাধু নিবাসে’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। হরিমন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কেপিএমের প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বপন কুমার সরকারের সভাপতিত্বে ও কাপ্তাই প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্তের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, কাপ্তাই ৪১ বিজিবির অধিনায়ক লে, কর্নেল মো. সাব্বির আহমেদ, কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম আনিসুজ্জামান, জেলা পরিষদ সদস্য অংসুইছাইন চৌধুরী ও দীপ্তিময় তালুকদার, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মফিজুল হক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমন দে, কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
শুরতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার মল্লিক ও সুর্বণ জয়ন্তী উৎসব কমিটির আহবায়ক রতন কুমার মল্লিক। এর আগে সমবেত যন্ত্র সংগীত ‘মঙ্গল দ্বীপ জ্বেলে’ পরিবেশিত হয়। এতে ৫০ জন যন্ত্রশিল্পী অংশ নেন।