শিজক ডেস্ক
বান্দরবান: পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, ‘বান্দরবান ও লামা পৌর এলাকায় পানির সংকট আর থাকবে না। পানির লাইন সম্প্রসারণের জন্য বান্দরবান পৌরসভার জন্য সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা এবং লামা পৌরসভার জন্য ২০০ কোটি টাকার প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদিত হয়েছে । পার্বত্যবাসীর কষ্ট লাঘবের কথা ভেবেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুব অল্প সময়ের মধ্যে এ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন। আর এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে গেলে পৌর এলাকায় আর পানির সমস্যা থাকবে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো শান্তি । পার্বত্য অঞ্চলে যাতে শান্ত পরিবেশ থাকে, উন্নয়নে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’ শনিবার (২৯ জুলাই) বান্দরবানের চিম্বুক সড়কের তারাছা ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) বান্দরবান অফিসের বাস্তবায়িত রুমা বিসি হতে মাওফা পাড়া ভায়া তারাছা ইউপি অফিস সড়ক উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।
এলজিইডি বান্দরবানের বাস্তবায়নে ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বান্দরবান সদর উপজেলার সঙ্গে রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নের বেতছড়া বাজার পর্যন্ত যাতায়াতের সুবিধার্থে দীর্ঘ ৫ কিলোমিটার সুদৃশ্য সড়কের উদ্বোধন করেন পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘পার্বত্য অঞ্চলের পাড়াবাসীরা সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে এখন তাদের উৎপাদিত কৃষিজ ও ফলজ পণ্য সহজে জেলা শহরে পরিবহণ করতে পারছে। এতে করে পাহাড়ি জনগণ আর্থিকভাবে স্বাবলম্বি হচ্ছেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দুর্গম পাহাড়ের মানুষদের দুঃখ দুর্দশার কথা চিন্তা করেই প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ করে পাহাড়ি মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার পথ সুগম করে দিচ্ছেন। জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সরকার বিভিন্নভাবে সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে। পাহাড়ে শিক্ষা, যোগাযোগ, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন খাতে হয়েছে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বদন্যতার কারণেই তা সম্ভব হয়েছে।’
এসময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সরওয়ার লিমা, সহকারী পুলিশ সুপার মো. মোজাফফর হোসেন, রোয়াংছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চহাই মং মারমা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা, এলজিইডি বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়াউল ইসলাম মজুমদারসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।