বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪

পাহাড়ের মানুষকে ‘বৈসাবি’র শুভেচ্ছা জানাল ইউপিডিএফ

শিজক ডেস্ক
রাঙামাটি: পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী বৃহৎ সামাজিক উৎসব উপলক্ষে পাহাড়ের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বার্তায় ইউপিডিএফ সভাপতি প্রসিত খীসা ও সাধারণ সম্পাদক রবি শঙ্কর চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যত্র এবং প্রবাসে অবস্থানকারী পাহাড়িদের ‘বৈ-সা-বি’র (বৈসুক-সাংগ্রাই-বিঝু-বিষু-বিহু-চাংক্রান) শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

ইউপিডিএফ নেতৃবৃন্দ বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে বান্দরবানে ৮ বম পাড়াবাসীকে হত্যা, দীঘিনালা ও মানিকছড়িতে পর পর হামলা-খুন ও অব্যাহত দমন-পীড়নে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে এক অবর্ণনীয় কঠিন দুঃসহ পরিস্থিতিতে ঐতিহ্যবাহী বৈ-সা-বি উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পাহাড়ে ভয়-ভীতি আতঙ্কের মাঝে শত দুঃখ, গ্লানি, শোক ও বেদনা ক্ষণিকের জন্য ভুলে সবাই যাতে এ মহান উৎসবের দিনে কিছুটা হলেও আনন্দ উৎসবে সামিল হতে পারে” সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন ইউপিডিএফ নেতৃদ্বয়।

পার্বত্য চট্টগ্রামে সম্মিলিতভাবে ‘বৈ-সা-বি’ উদযাপনের প্রাসঙ্গিকতা ও গুরুত্ব রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ইউপিডিএফের এই শীর্ষ দু্ই নেতা।

তারা বলেন, “উৎসবে বিশেষত চাকমাদের মূল বিঝুতে প্রাণী হত্যা বা বলি দেয়ার রীতি নেই। আমীষ জাতীয় নয়, উৎসবের প্রধান আকর্ষণই হচ্ছে হরেক রকমের বুনো শাক-সবজী সমাহারে তৈরি ‘পাজন’। উৎসবের চেতনায় রয়েছে সবার সম্মিলন, ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে একাত্ম হওয়া। এখানে বিত্তহীন বিত্তবানের কোনো ভেদাভেদ নেই। উৎসবে সামর্থ্য অনুযায়ী পাহাড়ের বিন্নি চালের তৈরি পিঠা-পায়েস-শরবত ও ফলমূল পরিবেশিত হয়। কিন্তু অপসংস্কৃতির কবলে পড়ে একশ্রেণীর লোক ‘বৈ-সা-বি’কে বিকৃতভাবে উপস্থাপন ও উদযাপন করে সমাজে বিত্তহীন ও বিত্তবানদের মধ্যে দূরত্ব ও ব্যবধান রচনা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এতে সমাজে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন ও ঐক্য দুর্বল হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে নিজ নিজ পাড়া-গ্রাম ও মহল্লায় ছাত্র-যুবসমাজের অগ্রণী ভূমিকা পালন করা দরকার।”

সভাপতি ও সম্পাদক আরও বলেন, ‘গত শতকের আশির দশকে পাহাড়িরা যখন একদিকে ফৌজি শাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট, অন্যদিকে তখনকার আন্দোলনকারী শক্তির মাঝে লারমাগ্রুপ-প্রীতিগ্রুপে ভাঙন-ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত-প্রাণহানির এক নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতিতে সরকারের কূটকৌশলের কারণে সাধারণ পাহাড়িদের মাঝে ঐক্য শিথিল হয়ে পড়ে। পাহাড়ে এ ধরনের নিদারুণ এক অনিশ্চিত ও দিশাহীন পরিস্থিতিতে সকল জাতিসত্তাসমূহকে ঐক্যের চেতনা ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করতে ছাত্র-যুবকদের উদ্যোগে ১৯৮৪ সালে সম্মিলিতভাবে বৈ-সা-বি উদযাপনের সূত্রপাত ঘটে।”

সংগঠনের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের দায়িত্বরত নিরন চাকমার সই করা এক বার্তায় ‘বৈসাবি’র শুভেচ্ছা জানিয়েছে ইউপিডিএফ।

সম্পর্কিত খবর

সোশ্যাল মিডিয়া

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ খবর