শিজক রিপোর্ট
রাঙামাটি: ‘সর্প দর্শন, প্রতিকার, চিকিৎসা এবং রেসকিউ ও অবমুক্তকরণ’ বিষয়ে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে রাঙামাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের আয়োজনে বন সংরক্ষক রাঙামাটি অঞ্চল কার্যালয়ের সভা কক্ষে এ প্রশিক্ষণ শুরু হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহিদুর রহমান মিয়া, পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ছালেহ মো. শোয়াইব খান ও অশ্রেণীভুক্ত বনাঞ্চলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহেল রানা।
দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষক আছেন বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ মো. আবু সাঈদ। প্রশিক্ষণে বন কর্মকর্তা, সাপ উদ্ধারকারী দলের প্রতিনিধি, যুব সংগঠক, বন কর্মী, বিজিবি সদস্য ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন। কর্মশালায় বিভিন্ন প্রজাতির বিষধর, নির্বিষ সাপ সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয় এবং কিভাবে রেসকিউ ও অবমুক্ত করা যাবে সে সম্পর্কে ধারণা নেন প্রশিক্ষণার্থীরা। আগামীকাল শুক্রবার প্রশিক্ষণার্থীরা হাতে-কলমে শিখবেন কর্মশালার শেষ দিনে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি বন সংরক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘সাপ পরিবেশ ও প্রতিবেশের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ফরেস্ট ইকো-সিস্টেমের খাদ্য শৃঙ্খলেও ভূমিকা রাখে সাপ। সাপ ইঁঁদুর খাওয়ার কারণে ফসলে ইঁদুরের আক্রমণ কম হয়ে থাকে। সাপকে ভয় পাওয়ার প্রধান কারণ সাপ সম্পর্কে না জানা। সাপে কামড়ালে অজ্ঞতা আছে; ভয়ের কারণে মানুষ হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যায়। তাই সাপ রেসকিউ করার ক্ষেত্রেও যেখানে ঝুঁকি আছে; সেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই রেসকিউ করতে হবে।’
স্বাগত বক্তব্যে ডিএফও মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রতি বছরে ৪ লাখ মানুষ সাপের কামড়ে বা সর্পদংশনের শিকার হন। এরমধ্যে সাড়ে ৭ হাজার মানুষ সাপের দংশনের কারণেই মারা যান। এশিয়ার মধ্যে ভারতেই প্রতি বছরে ৫০ হাজার মানুষ সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।’