শিজক ডেস্ক
ঢাকা: বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর টহল দলের ওপর কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) হামলায় সেনাবাহিনীর দুই সৈনিক নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন দুই কর্মকর্তা। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার দুপুরে রুমা উপজেলার সুংসুংপাড়া সেনা ক্যাম্পের আওতাধীন জারুলছড়িপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার একদিন পর পাঠানো ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “কেএনএ-এর সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আস্তানার খবর পেয়ে সুংসুংপাড়া আর্মি ক্যাম্প থেকে মেজর মনোয়ারের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল মঙ্গলবার ওই এলাকায় রওনা হয়। টহল দলটি জারুলছড়ি পাড়ার কাছে পানির ছড়ার কাছাকাছি পৌঁছালে দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) সন্ত্রাসীদের ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ এবং অতর্কিত গুলিবর্ষণে মধ্যে পড়ে। এতে দুইজন অফিসার ও দুই জন সৈনিক আহত হয়। আহতদের হেলিকপ্টারের মাধ্যমে সিএমএইচ চট্টগ্রামে স্থানান্তরিত করা হয়।”
পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত সৈনিক দুজনের মৃত্যু হয়। আহত দুই অফিসার চট্টগ্রাম সিএমএইচ-এ চিকিৎসাধীন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আইএসপিআর। তবে হতাহতদের কারো নাম-পরিচয় আইএসপিআর এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “সাম্প্রতিক সময়ে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার গহীন অরণ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অরাজক পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। দেশমাতৃকার জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদ সেনাসদস্যদের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে সেনাবাহিনী প্রধান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।”
সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি পাহাড়িদের কাছে ‘বম পার্টি’ নামে পরিচিত। সংগঠনটি অর্থের বিনিময়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলে গত অক্টোবরে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ওই সময় থেকে ধারাবাহিক অভিযানে বিভিন্ন সময়ে ‘জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ এবং ‘বম পার্টি’র অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত মার্চ মাসেও বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ে বম পার্টির গুলিতে সেনাবাহিনীর টহল দলের এক সদস্য নিহত হন। ওই ঘটনায় আরও দুইজন আহত হন।
সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম