প্রান্ত রনি, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
রাঙামাটি: পার্বত্য চট্টগ্রামের ‘প্রাণকেন্দ্র’ বলা হয়ে থাকে রাঙামাটি জেলাকেই। আয়তনে দেশের সবচেয়ে বড় জেলা হলেও এই জেলায় নির্বাচনি আসন কেবল একটি। সারাদেশে জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় রাজনৈতিক দলসমূহেরই কেবল প্রভাব বিস্তার থাকলেও রাঙামাটির ক্ষেত্রে বরাবরই ফ্যাক্টর ছিল আঞ্চলিক দল। আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সমর্থনেই পাল্টে যায় ভোটের হিসাব-নিকাষ। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে নিয়ে এখনও উত্তাপ না ছড়ালেও দল গুছাচ্ছে এবং নিজেদের সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে ভাবছে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে টানা ছয়বার জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী থাকলেও এবারের নির্বাচনেই কেবল নতুন প্রার্থীর আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
বিগত নির্বাচনের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯১ সালের ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে টানা ছয়বার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করছেন বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি। ছয়টি নির্বাচনের মধ্যে চারটিতেই বিজয়ী হয়েছেন দীপংকর। বাকী দুটি নির্বাচনের মধ্যে একটিতে আঞ্চলিক দল ও আরেকটিতে বিএনপির প্রার্থী নির্বাচনে বিজয়ী হেরেছেন।
এরমধ্যে ১৯৯১ সালের ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দীপংকর তালুকদারের নিকটতম প্রার্থী ছিলেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মো. নাজিম উদ্দিন; এ নির্বাচনে বিজয়ী হন দীপংকর। ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী দীপংকর তালুকদারের নিকটতম প্রার্থী ছিলেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মো. নাজিম উদ্দিন; এই নির্বাচনেও বিজয়ী হন দীপংকর। এরপর ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাঁক পাল্টেছে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দীপংকর তালুকদারকে হারিয়ে ভোটযুদ্ধে বিজয়ী হন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মনিস্বপন দেওয়ান। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও সংসদ সদস্য পদটি পুনঃরুদ্ধার করেছেন দীপংকর তালুকদার। বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মৈত্রী দেওয়ানকে হারিয়ে সংসদ সদস্য হন দীপংকর তালুকদার।
তবে ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পাহাড়ের আঞ্চলিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী হন সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ঊষাতন তালুকদার। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আঞ্চলিক দলের কাছে ভোটের হেরে আবারও দ্বিতীয় দফায় হারলেন আওয়ামী লীগের ‘হেভিওয়েট প্রার্থী’ দীপংকর তালুকদার। সর্বশেষ ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিজের ‘শেষ নির্বাচন’ হিসাবে মাঠে নেমেছেন দীপংকর তালুকদার। এ নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি উষাতন তালুকদার ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মনি স্বপন দেওয়ান। প্রতিদ্বন্দ্বী দেওয়ান-তালুকদারকে হারিয়ে চারবারের মতো এমপি হয়েছেন দীপংকর তালুকদার।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে শেষ নির্বাচন হিসাবে প্রার্থিতা করার ঘোষণা তখন থাকলেও সামনের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনেও দলের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে দীপংকর তালুকদার ভোটে দাঁড়াবেন। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বলছেন তাঁর অনুসারীরা। তবে এবারের নির্বাচনে দলের মনোনয়ন চাইতে পারেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা।
জেলায় আওয়ামী লীগের রাজনীতি এতদিন দীপংকর তালুকদারের একক নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি থাকলেও তবে সর্বশেষ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি দীপংকর-নিখিলের সভাপতি পদে প্রার্থীতা নিয়ে দুজনের রাজনৈতিক বৈরিতা প্রকাশ্যে এসেছে। মূলতঃ জেলার আওয়ামী লীগ রাজনীতি এখন দীপংকর-নিখিল দুভাগে বিভক্ত হয়েছে। সেই সম্মেলনে দলের ‘হাইকমান্ডের অনুরোধে’ দীপংকর ফের সভাপতি হলেও এবারের সংসদ নির্বাচনে নিখিল কুমার চাকমা দলীয় প্রার্থী জোর তদবির চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্রগুলো।
২০০৮ সাল থেকে সন্তু লারমার পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) দলীয় সমর্থনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ায় রাঙামাটির নির্বাচনে আঞ্চলিক দল আওয়ামী লীগের কাছে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পরবর্তী এর আগের নির্বাচনগুলোতে জেএসএস জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলোকে সমর্থন দিয়ে আসলেও ২০০৮, ২০১৪ ও সর্বশেষ ২০১৮ সালের নিজেরাই প্রার্থী দিয়েছে। এরমধ্যে ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ী ও ২০০৮ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কাছে হেরেছে। সে কারণে আওয়ামী লীগের আঞ্চলিক দল ভীতি রয়েছেই।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দীপংকর তালুকদার হারিয়ে জেএসএস সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ঊষাতন বিজয়ী হলেও সেই নির্বাচনে আরও দুইটি আঞ্চলিক দল স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়েছিল। এরমধ্যে ইউপিডিএফ-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন সচিব চাকমা এবং জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন সুধাসিন্ধু খীসা। তবে বিগত দুই নির্বাচনে আর প্রার্থী দেয়নি জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) ও ইউপিডিএফ। গত ইউপিডিএফ সমর্থন জানিয়েছিল সন্তু লারমার জেএসএসকে। অন্যদিকে জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) সমর্থন জানিয়েছিল আওয়ামী লীগকে।
এবারের নির্বাচনেও জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) প্রার্থী দেবে না এবং আওয়ামী লীগকেই সমর্থন জানাতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) একটি সূত্র জানিয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় প্রার্থী দেওয়ার কথা ভাবছে দলের হাইকমান্ড।
সর্বশেষ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ঊষাতন তালুকদারকে সমর্থন জানিয়েছিল প্রসিত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন পাহাড়ের আরেক ‘হেভিওয়েট’ আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউনাইটেড)। সে সময়ে জেএসএস-ইউপিডিএফের ‘রাজনৈতিক সমঝোতা’ থাকায় রাঙামাটি আসনে একত্রে ভোট করেছিল দুটি আঞ্চলিক দলই। তবে বর্তমান সময়ে আবারও জেএসএস-ইউপিডিএফের রাজনৈতিক বৈরিতা চলছে। যে কারণে এবারের নির্বাচনে একই প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে ইউপিডিএফ বলছে, রাজনৈতিক দল হিসাবে তারা বরবরই গণতন্ত্রমুখী।
দ্বাদশ নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইউপিডিএফের মুখপাত্র অংগ্য মারমা বলেন, ‘ইউপিডিএফ বরাবরই গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন যদি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মতো পরিবেশ তৈরি হয় তাহলে ইউপিডিএফের জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী হিসাবে প্রার্থিতা ঘোষণা করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে আমরা কাকে প্রার্থী ঘোষণা করতে পারি এ ধরণের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো পার্টির পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি।’
স্থানীয় রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, এবারের সংসদ নির্বাচনেও বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে আঞ্চলিক দল। তবে বিএনপি নির্বাচন যদি অংশগ্রহণ করে সেক্ষেত্রে বিএনপির ভবিষ্যৎ নিয়েও খুব বেশি বলা যাচ্ছে না। তবে প্রার্থিতা হতে পারেন এমন তিনজন শীর্ষ নেতার নাম নেতাকর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থী যারা হতে পারেন তারা হলেন- সাবেক উপমন্ত্রী মনিস্বপন দেওয়ান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-উপজাতীয় বিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) মনীষ দেওয়ান ও জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু। দলটির নেতা-কর্মীরা বলছেন, নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী লড়তে হলে এবং নির্বাচনি বৈতরণী পার হতে সাবেক উপমন্ত্রী মনিস্বপন দেওয়ানের বিকল্প নেই। রাঙামাটি ‘পাহাড়ি অধ্যুষিত’ এলাকা হিসাবে স্থানীয় কমিউনিটির ভোট নিজেদের ঝুলিতে ভরতে মনিস্বপনের বিকল্প দেখছেন না নেতা-কর্মীরা।
তবে এসব প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু বলেন, ‘আমরা এক দফা দাবিতে সারাদেশে আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছি। সেন্ট্রালের কড়া অর্ডার আছে, আন্দোলন সংগ্রামের পরই নির্বাচনে কে প্রার্থী হতে পারে এসব নিয়ে ভাবনা। তাই আপাতত প্রার্থিতা নিয়ে আমাদের ভাবনা নেই।’ বিগত নির্বাচনগুলো সাবেক উপমন্ত্রী মনিস্বপন দেওয়ান বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ছিলেন; বিএনপি যদি দ্বাদশ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সেখানে মনিস্বপনের বিকল্প হিসাবে কেউ থাকতে পারেন কিনা জানতে চাইলে দীপু সারাবাংলাকে বলেন, ‘দলের সভাপতি হিসাবে আমারও প্রার্থিতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাও যদি নেতা-কর্মীরা চান। তবে আমাদের এখন এসব নিয়ে ভাবনা-চিন্তা নেই।’
তবে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) কোনো নেতার মন্তব্য পাওয়া যায়নি। জেএসএস সমর্থিত এক বারের এমপি ঊষাতন তালুকদারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। বক্তব্য পাওয়া যায়নি জনসংহতি সমিতিরও (এমএন লারমা)।
এদিকে, আওয়ামী লীগ থেকে এবারের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নিখিল কুমার চাকমা বলেন, ‘এখনো দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়নি। তফসিল ঘোষণার পরপরই বলা যাবে নির্বাচনে প্রার্থিতা করবো কি করবো না। সময় আসুক, তখন বলা যাবে। আগে থেকে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’
এদিকে, গত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় রাজনৈতিক দল হিসাবে কে এম পারভেজ তালুকদার জাতীয় পার্টি, জুঁই চাকমা বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও জসিম উদ্দিন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হয়েছিলেন। আসন্ন নির্বাচনে এসব রাজনৈতিক দলের প্রার্থী নিয়ে এখনও কোনো আলোচনা নেই। আলোচনা নেই বাঙালিভিত্তিক সংগঠনের প্রার্থী নিয়েও।
জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য মতে, ভোটের হিসাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯ নম্বর রাঙামাটি আসনের ২০৩ ভোট কেন্দ্রে ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৮৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দীপংকর তালুকদার। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসাবে জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সমর্থিত ঊষাতন তালুকদার পেয়েছিলেন ১ লাখ ৮ হাজার ৩৬ এবং বিএনপির প্রার্থী মনি স্বপন দেওয়ান পেয়েছেন কেবল ৩১ হাজার ৪৩৭ ভোট।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে জেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ১৮ হাজার ২১৭ জন। তারমধ্যে পুরুষ ভোটার ছিল ২ লাখ ২০ হাজার ৩৫৪ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৬৩ জন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬১ জন। তারমধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৪৬ হাজার ৯৭১ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ২৬ হাজার ৩৮৮ জন। তবে এবার রাঙামাটিতে দুজন হিজড়া ভোটার রয়েছেন। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর দ্বাদশ নির্বাচনের মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত ভোটার বেড়েছে ৫৫ হাজার ১৪৪ জন। তবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পর ভোটার তালিকা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে নির্বাচন অফিস।