শিজক ডেস্ক
রাঙামাটি: বজ্রপাতে জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় দুই নারীসহ জেলায় তিনজন মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল ও দুপুরে পৃথক তিনটি ঘটনায় তিনজন মারা যান। এছাড়া বজ্রপাতের সময় চায়ের দোকানে বসা অবস্থায় সাতজন আহত ও মাঠে একটি গবাদি পশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
নিহতরা হলেন- রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার রূপকারী ইউনিয়নের মুসলিম ব্লক এলাকার বাসিন্দা বাহারজান (৫৭), সাজেক ইউনিয়নের লংথিয়ান পাড়ার বাসিন্দা তনিবালা ত্রিপুরা (৩৭) এবং জেলা সদরের তবলছড়ি সিলেটি পাড়ার বাসিন্দা মো. নজির (৫০)। এরমধ্যে বাহারজান ও নজির সকালে ও তনিবালা ত্রিপুরা দুপুরে বজ্রপাতে মারা যান।
বাঘাইছড়ি বড়াদম নামক একটি গ্রামে চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দেওয়ার সময় বজ্রপাতের ঘটনায় সাতজন আহত হয়েছেন। তারা হলেন, তরুণ চাকমা, তৃণা চাকমা, রবীন্দ্রনাথ চাকমা, সুষমলাল চাকমা, অক্ষয় মণি চাকমা, পাত্থর চাকমা ও অমর জ্যোতি চাকমা। এছাড়া বটতলী এলাকায় একটি গবাদিপশুর মৃত্যু হয়েছে।
রূপকারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জেসমিন চাকমা বলেন, “সকাল ৯টার দিকে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি শুরু হলে বাহারজান বেগম মাঠ থেকে গরু আনার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। তিনি রাস্তায় থাকা অবস্থায় বজ্রপাত হলে অজ্ঞান হয়ে যান। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। একই ওয়ার্ডের বড়াদম গ্রামে বজ্রপাতে একটি চায়ের দোকানে বসে থাকা সাতজন আহত হন।”
সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বনবিহারী চাকমা বলেন, “দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ির পাশে শূকরের ঘর পরিচর্যা করার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তনিবালা ত্রিপুরা মারা যান।”
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শিরীণ আক্তার বলেন, “বাঘাইছড়ি রূপকারী ও সাজেক ইউনিয়নে বজ্রপাতে দুই নারী মারা গেছেন। কয়েকজন আহত হয়েছেন। নিহতদের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।”
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাঙামাটি জেলা শহরের সিলেটি পাড়া এলাকায় কাপ্তাই হ্রদে বরশি দিয়ে মাছ ধরার বজ্রপাতে মো. নজির (৫০) নামে একজন গুরুতন আহত হন। পরে তাকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শওকত আকবর জানিয়েছেন, “নজিরকে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে।”
রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা. নূয়েন খীসা আজাদীকে জানান, “আমরা বজ্রপাতে রাঙামাটি শহরের তবলছড়িতে একজন ও বাঘাইছড়ি উপজেলায় দুজন নিহতের খবর পেয়েছি। এছাড়া সাতজন আহতের খবর শুনেছি।”