শিজক রিপোর্ট
রাঙামাটি: ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা, পদোন্নতি, পদ সৃজন, স্কেল আপগ্রেডেশন ও আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনসহ নানান দাবিতে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিসহ সারাদেশে কর্মবিরতি পালন করেছেন শিক্ষকরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ডাকে দেশজুড়ে এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
কর্মসূচির আওতায় রাঙামাটির দুইটি সরকারি কলেজে সাধারণ শিক্ষা সমিতির আওতাধীন শিক্ষক-শিক্ষিকারা একদিনের কর্মবিরতি পালন করেছেন। দাবি পূরণ না হলে আগামী ১০, ১১ এবং ১২ অক্টোবর টানা তিনদিনের কর্মবিরতি পালন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
এদিকে, শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে রাঙামাটি সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজে শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ ছিল। শিক্ষকদের কর্মবিরতির প্রভাব ফেলছে পাঠদান কার্যক্রমে। বিসিএস সাধারণ শিক্ষক সমিতির ডাকা একদিনের কর্মবিরতির কারণে সরকারি কলেজসমূহের পরীক্ষাও স্থগিত রাখা হয়েছিল।
২০২১ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স তৃতীয় বর্ষের সোমবারের পরীক্ষাটি ‘অনিবার্য কারণ’ দেখিয়ে স্থগিত করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। যে কারণে আজ রাঙামাটি সরকারি কলেজও পরীক্ষা গ্রহণ স্থগিত ছিল। স্থগিত পরীক্ষা আগামী ১৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা স্থগিত সংক্রান্ত ও নতুন তারিখ ঘোষণা করে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তর।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক তুষার কান্তি বড়ুয়া জানান, ‘আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সারাদেশে একদিনের কর্মবিরতি আজ পালিত হয়েছে। এই কর্মসূচির পরও যদি দাবি আদায়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হয় সেক্ষেত্রে আগামী ১০, ১১ এবং ১২ অক্টোবর টানা তিনদিনের কর্মবিরতি পালন করা হবে।’
শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে সরকারি কলেজসমূহে শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ ছিল এবং একই কারণেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা গ্রহণ স্থগিত করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে জেলার নানিয়ারচর কলেজ, কর্ণফুলী কলেজসহ অন্যান্য সরকারি কলেজ থাকলেও বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির শিক্ষক নিয়োগ না থাকায় ওই সব কলেজে কর্মবিরতি পালিত হয়নি।।
এর আগে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর সারাদেশ একযোগে সংবাদ সম্মেলন করে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। ওইদিন রাঙামাটি সরকারি কলেজের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন ডেকে ২ অক্টোবর (সোমবার) একদিনের কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছিলেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি রাঙামাটি জেলা কমিটির নেতারা। একদিনের কর্মবিরতির পরও দাবি পূরণে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে আগামী ১০, ১১ এবং ১২ অক্টোবর টানা আরও তিনদিনের কর্মবিরতি পালনের হুঁশিযারি দেয়া হয়।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির দেয়া তথ্যমতে, বর্তমানে সারাদেশে সরকারি কলেজসহ শিক্ষা প্রশাসনে কর্মরত শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তার সংখ্যা ১৬ হাজার। গুরুত্বপূর্ণ এই খাতে ১২ হাজার ৪৪৪টি পদ সৃজনের প্রস্তাব আটকে আছে দীর্ঘ ৯ বছর।