শিজক রিপোর্ট
রাঙামাটি: এবিএফ ইন্টারকন্টিনেন্টাল বক্সিং প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়নশিপ বেল্ট বিজয়ী এশিয়া মহাদেশের সেরা বক্সার (মুষ্টিযোদ্ধা) সুর কৃষ্ণ চাকমাকে সংবর্ধনা দিয়েছে রাঙামাটি রানার্স। শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাঙামাটি জেলা শহরের রাজবাড়ী এলাকায় একটি রেস্তোরাঁয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রাঙামাটি রানার্স নামে একটি দৌড় সংগঠন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়। অনুষ্ঠানে সুর কৃষ্ণ চাকমাকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- সুর কৃষ্ণ চাকমার মা সারনা চাকমা, স্ত্রী তিসি চাকমা, রাঙামাটি রানার্সের সদস্য মনতোষ চাকমা, ডা. মোস্তফা কামাল, গৌরব চাকমা, এনভিল চাকমাসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন রাঙামাটি রানার্সের সদস্য সেতু চাকমা।
সুর কৃষ্ণ চাকমা রাঙামাটি রানার্সেরও সদস্য। এবিএফ ইন্টারকন্টিনেন্টাল বক্সিং প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়নশিপ বেল্ট বিজয়ের মধ্য দিয়ে এশিয়া মহাদেশের সেরা বক্সার হয়েছেন রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলা বাসিন্দা সুর কৃষ্ণ। তিনি বক্সিংকে পেশা হিসেবেই বেচে নিয়েছেন। তার কাছে সাফল্যও দিয়েছে ধরা।
বক্সার সুর কৃষ্ণ চাকমা বলেন, ‘করোনার শুরুর দিকে রাঙামাটি রানার্স এর সঙ্গে যোগাযোগ করি। পরে তাদের সঙ্গে দৌড়ে বের হতাম। আমি মনে করি আমার এই সাফল্যের পেছনে তাদেরও অবদান রয়েছে।’
চাকমা সার্কেল চিফ দেবাশীষ রায় বলেন, “পাহাড়ের আদিবাসী ছেলেমেয়েরা দেশবিদেশে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করে সাফল্য এনে দিয়েছে দেশের জন্য। সুর কৃষ্ণ চাকমা তাদের মধ্যে অন্যতম একজন। ফিফার রেফারি থেকে শুরু করে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপেও পাহাড়ের মেয়েদের সাফল্য দেশের জন্য গৌরবের। আমি মনে করি পাহাড় ও সমতলের মানুষের মধ্যকার সম্প্রীতিতে এই সকল অর্জন অবদান রেখেছে।”
সুর কৃষ্ণ চাকমা বাংলাদেশের প্রথম পেশাদার বক্সার। তিনি ২০১৩ ও ২০১৪ সালের জাতীয় বক্সিং চ্যাম্পিয়ন। এছাড়া ২০১৩ সালের বর্ষ সেরা জাতীয় বক্সিং চ্যাম্পিয়ন। প্রতিনিধিত্ব করেছেন ২০১৪ সালের কমনওয়েলথ গেমসে। রিও অলিম্পিক থেকে স্কলারশিপ পেয়েছেন। সুর কৃষ্ণ চাকমা পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে।