শিজক রিপোর্ট
রাঙামাটি: প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে নতুন ঘর পাচ্ছেন রাঙামাটির ছয় উপজেলার আরও ২১৩টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার।
সোমবার (৭ আগস্ট) বিকালে রাঙামাটি জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ-সংক্রান্ত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলাপ্রশাসক জানান, রাঙামাটির দশ উপজেলার মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৭৩৬টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫০৩টি, তৃতীয় পর্যায়ে ২৩৮টি, চতুর্থ পর্যায়ের প্রথম ধাপে ৪৩৯টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে ঘর দেয়া হয়েছিল। চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে এবার জেলার ছয় উপজেলায় মোট ২১৩টি ঘর দেওয়া হবে। আগামী ৯ আগস্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের উপকারভোগীদের মাঝে ঘর হস্তান্তর করবেন।
তিনি আরও জানান, এবারের ধাপে রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় ১১টি, কাউখালী উপজেলায় ৪৯টি, রাজস্থলী উপজেলায় ১টি, বরকল উপজেলায় ২০টি, বাঘাইছড়ি উপজেলায় ১০০টি ও লংগদু উপজেলায় ৩২টি ঘর হস্তান্তর করা হবে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, আগামী ৯ আগস্ট নতুন করে ২১৩টি ঘর উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হলে মোট ২ হাজার ১২৯টি ঘর পাবেন রাঙ্গামাটির দশ উপজেলার গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার।
প্রেস ব্রিফিংয়ে কক্ষে জেলাপ্রশাসকের সঙ্গে অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (রাজস্ব) এস এম ফেরদৌস ইসলাম, অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলামসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটিতে জেলায় কোন মাচাং ঘর তৈরি করা হয়েছে কীনা- এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলাপ্রশাসক বলেন, ‘রাঙামাটি জেলায় এখনো পর্যন্ত কোনো মাচাং ঘর দেয়া হয়নি। তবে আমরা মানুষকে মাচাং ঘর নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করছি। গৃহহীন ও ভূমিহীনদের সবাই যেহেতু পাকা ঘর নিচ্ছেন; তাই কেউই মাচাং ঘর নিতে চাইছেন না।’
কেউ যদি মাচাং ঘর নিতে আগ্রহী হন সেক্ষেত্রে তাকে মাচাং ঘর করে দেয়া হবে। আপাতত কোনো মাচাং ঘর নেই বলে জানান তিনি।