শিজক ডেস্ক
রাঙামাটি: জেলার লংগদু উপজেলার বগাচতর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে ‘নির্যাতনের’ অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে দুইটি পরিবার। বুধবার (১৭ মে) সকালে রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে জমিজামা সংক্রান্ত কারণে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেন আবদুল মোতালেব ও সেলিনা আক্তার নামের দুই ব্যক্তি। এসময় মো. জহিরুল ইসলামসহ অভিযোগকারীদের সঙ্গে তাদের পরিবারের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সেলিনা আক্তার অভিযোগ করেন, ‘মমতাজ বেগম বগাচতর ইউনিয়নের বেশ কিছু পরিবারকে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে ফকির বানিয়ে দিয়েছে। এরমধ্যে তার পরিবার অন্যতম। বগাচতর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড পেটান্যামাছড়া মৌজার হোল্ডিং নং ২০,২২/৫২৮ জমির পরিমান ৩ একর ৯০ শতাংশ ভুয়া বিবিধ কাগজ করে যার বলে কিছু সংখ্যক অসৎ লোকদের নিয়ে জবরদখল করার চেষ্টা করে।’
সেলিনা আরও বলেন, ‘জমির ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও জমি বেদখলের চেষ্টা এবং আমার মা ও সন্তানদের ঘরে ঢুকে মারধর করে এই মহিলা। আমার স্বামীকে দোকানদারি করতে দিচ্ছে না। আমার রেকর্ডীয় জমি ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ভোগদখলে নিতে চায় মমতাজ বেগম। মমতাজ বেগম ভুয়া বিবিধ হোল্ডিং নম্বর ব্যবহার করে; যা লংগদু ভূমি অফিস কর্তৃক ভুয়া প্রমানিত হয়। ৮০-৮১ হোল্ডিং নং ২০, ২২/৫২৮ এর চৌহদ্দি বিবিধ হোল্ডিং ৪৪০ নিয়ে আসে। যার কারণে মমতাজ বেগমের সঙ্গে আমার পরিবারের মামলা হয়। আমরা মমতাজ বেগমকে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের কাছে প্রতি দাবি জানাই।’
আবদুল মোতালেব নামে আরেকজন অভিযোগ করেন, ‘মমতাজ বেগম ২০০৭ সাল থেকে তার ২৩ নম্বর বগাচতর মৌজার হোল্ডিং নম্বর ৩১৮, জমির পরিমান প্রায় ০.৫০শতক জবর দখল করে আসছে। পরে স্থানীয়ভাবে ও উপজেলা পর্যায়ে সালিশী বৈঠক হয়। কিন্তু মমতাজ বেগম তা মানেন না। পরে ২০০৭ সালে এসে আমি আদালতের স্মরণাপন্ন হই। যুগ্ন জজ কোর্টে আমি রায় পাই। মমতাজ বেগম ওই মামলা ১১৫-১৫ এর ওপর আপীল করে। ২০২২ ফেব্রুয়ারি মাসে আপীলেও আমি রায় পাই। রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপীল করে মমতাজ বেগম। মমতাজ বেগমের মামলার ভারে এখন আমি দিশেহারা। মমতাজ বেগম আমার বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা দিয়েছে। তাই এখন আমি অসহায় ও নিঃস্ব হয়ে এলাকা ছাড়া। আমি গরিব মানুষ আমার দ্বারা হাইকোর্টে গিয়ে মামলা পরিচালনা করা সম্ভব না।’