সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

শনিবার থেকে খাগড়াছড়িতে ৫ দিনের আলোকচিত্র প্রদর্শনী 

শিজক ডেস্ক
খাগড়াছড়ি: পার্বত্য চট্টগ্রামের বন, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে খাগড়াছড়িতে ৫ দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু হতে হচ্ছে শনিবার থেকে। খাগড়াছড়ির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে শনিবার সকাল ১১টায় শুরু হওয়া প্রদর্শনী চলবে বুধবার পর্যন্ত।

প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রদর্শনী দর্শনাথীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। খাগড়াছড়ির দুই আলোকচিত্রী সবুজ চাকমা ও সমির মল্লিকের তোলা ৫১টি ছবি প্রদর্শনীতে স্থান পাবে বলে জানিয়েছে আয়োজকরা।


প্রদর্শনী প্রসঙ্গে আলোকচিত্রী সমির মল্লিক বলেন, প্রকৃতি বাঁচলেই মানুষ বাঁচবে। পাখি, বন্যপ্রাণী প্রাণ ও প্রকৃতির অন্যতম উপাদান। বনভূমি পরিমান কমে আসার কারণে পাখির আবাসস্থল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক পাখি অনেক আর দেখা যায় না। এক সময় পাহাড়ের ধনেশ পাখির বিচরণ থাকলেও তা এখন প্রায় বিপন্ন। হাতিসহ অনেক বন্যপ্রাণী বিলুপ্তির পথে। এই ধরণের প্রদর্শনী মানুষের মাঝে পাখি ও বন্যপ্রাণীর রক্ষায় সচেতনতা বাড়াবে বলে মনে করেন সমির।

আরেক আলোকচিত্রী সবুজ চাকমা জানান, প্রদর্শনীতে বেশ কিছু বিরল পাখি ও বন্যপ্রাণীর ছবি স্থান পাবে। দর্শনাথীরা পার্বত্য চট্টগ্রামের সমৃদ্ধ প্রকৃতি ও প্রাণী সর্ম্পকে জানতে পারবে। তিন পাহাড়ি জেলা থেকে তোলা অনেক ছবি প্রথমবাবের মতো দর্শনাথীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের বনে বিলুপ্ত প্রায় ধনেশ পাখি

খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক জিতেন চাকমা জানান, ‘সেভ দ্য বায়োডাইভার্সিটি অব হিল ট্রাক্টস’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান থেকে তোলা বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, বন্যপ্রাণী ও নির্সগের ছবি স্থান পাচ্ছে। এই ধরনের প্রদর্শনী দর্শনাথী শিল্পমনের তৃষ্ণা মেটাবে একই সঙ্গে প্রাণ ও প্রকৃতি রক্ষায় সচেতনতা তৈরি করবে।’

এর আগে, ২০১৯ সালের ২৯ ও ৩০ মার্চ খাগড়াছড়িতে এবং একই বছরের ৩ ও ৪ মে রাঙামাটিতে দুই দিনব্যাপী ‘সেভ দ্য বার্ডস অব হিল’ শীর্ষক পাখির ছবি প্রদর্শনী করেছে এই দুই আলোকচিত্রী।

আলোকচিত্রী সমির মল্লিক পেশায় একজন সাংবাদিক; তিনি ইন্ডিপেন্ডেট টেলিভিশন, দৈনিক যুগান্তর ও দৈনিক আজাদী’র খাগড়াছড়ি প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করছেন। আরেক আলেকচিত্রী সবুজ চাকমা পেশায় একজন প্রকৌশলী; বর্তমানে সড়ক ও জনপথ (সওজ) রাঙামাটি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে রয়েছেন।

সম্পর্কিত খবর

সোশ্যাল মিডিয়া

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ খবর