লোকাল করেসপনডেন্ট
দীঘিনালা: খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় মাইনী নদীর বেইলি সেতু ভেঙে দীঘিনালার সঙ্গে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি ও পর্যটনকেন্দ্র সাজেকের সড়কে ভারী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বিকল্প পথে হালকা যানবাহন চলাচল করছে।
মঙ্গলবার (০৭ মার্চ) সকালে বেইলি সেতু ভেঙে পাথরবাহী ট্রাক মাইনী নদীতে পড়ে যায়। এতে করে দীঘিনালা-সাজেক সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ। সেতুটি মেরামত করতে সপ্তাহখানেক সময় লাগবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। এদিকে, এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও স্থানীয়দের পাশাপাশি বিপাকে পড়েছে সাজেকগামী পর্যটকরা।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে ট্রাকটি সাজেকের উদয়পুরে নির্মাণাধীন সীমান্ত সড়কের জন্য পাথর নিয়ে আসছিল। মাইনী সেতু অতিক্রম করার সময় বেলা সাড়ে ১০টার দিকে দুর্ঘটনা ঘটে। সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ট্রাকটিতে ১০-১২ টন পাথর ছিল। অতিরিক্ত পণ্য পরিবহনের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে।
বেইলি সেতু ভাঙায় প্রায় দেড় ঘন্টা বন্ধ থাকার পর বেলা ১২টার দিকে দীঘিনালার থানা বাজার ‘নতুন ব্রিজ’ দিয়ে বড়াদম হয়ে দীঘিনালা-সাজেক সড়কে বিকল্পভাবে যান চলাচল শুরু হয়। তবে ওই সড়কটি দিয়ে হালকা যানবাহন চলাচল করতে পারলেও ভারী যানবাহন চলাচল করছে। ধসে পড়া মাইনী সেতু মেরামত না করা পর্যন্ত সচল হবে না দীঘিনালা-সাজেক সড়কে ভারী যান চলাচল।
এদিকে তাৎক্ষনিক দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলাপ্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সেনাবাহিনীর কর্মকর্মারা। সড়ক বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে বিকেল থেকে শুরু হয়েছে সেতুটি মেরামতের কাজ। তবে সেতুটি মেরামত করে দীঘিনালা-সাজেক সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে সপ্তাহখানেক সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনী ইঞ্জিনিয়ার্স কোরের কর্মকর্তারা।
খাগড়াছড়ি জেলাপ্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, ‘সাজেকের পর্যটক ও স্থানীয় জনসাধাণের জন্য বিকল্প পথের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেনাবাহিনী, সড়ক ও জনপথের সঙ্গে কথা বলেছি খুব দ্রুত সমস্যা নিরসন করা হবে।’
খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, ‘সেতুটি সেনাবাহিনীর ২০ ইসিবি রক্ষণাবেক্ষণ করেন। তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি।’
২০ ইঞ্জিনিয়ার্স কন্সটাকশনের মেজর এইচএম ইকরামুল হক বলেন, ‘অতিরিক্ত মালামাল পরিবহন করায় সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইতিমধ্যে সেতুটির সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি আগামী সাতদিনের মধ্যে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।’