শিজক রিপোর্ট
রাঙামাটি: পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি নৃ-গোষ্ঠীদের প্রধান সামাজিক অনুষ্ঠান বিঝু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু, সাংক্রান উৎসবের রাঙামাটি জেলার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ১০ এপ্রিল। ১০ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা প্রকাশ করেছে রাঙামাটি বিঝু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু, সাংক্রান- ২০২৩ উদযাপন কমিটি।
এ উপলক্ষে রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা শহরের নিউ মার্কেট আশিকা কনভেনশন হলে প্রস্তুতিমূলক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে উদযাপন কমিটি। সভায় উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রকৃতি রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে রাঙামাটির বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সামাজিক সংগঠন, ক্লাব, সমিতি ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন প্রস্তাব পেশ করেন। সভা থেকে রাঙামাটি শহরের সকল ক্লাব, সমিতি, সামাজিক সংগঠন ও সংস্থাগুলোকে নিজ নিজ সম্প্রদায়ের পোশাক ও সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের লালন সহকারে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে তিনদিনের আয়োজনে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
সভায় স্টীম টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজেরে প্রাক্তন অধ্যক্ষ কিরণ বিকাশ চাকমা, অবসরপ্রাপ্ত প্রকোশলী মোহিনী রঞ্জন চাকমা, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ইন্দুলাল চাকমা, বিশিষ্ট ঠিকাদার যতীন বিহারী চাকমা, উদযাপন কমিটির সমন্বয়ক বিজয় কেতন চাকমা, সদস্য সচিব ইন্টুমনি তালুকদার, প্রসন্ন কুমার চাকমা, ইন্দ্রদত্ত তালুকদার, শুক্র কুমার চাকমা, নবাশীষ চাকমা, প্রনব চাকমা, নগেন্দ্র চাকমা, সচিনা চাকমা, সাগর ত্রিপুরা, ইতি চাকমা, পরিতোষ তালুকদার, ম্রানুচিং মারমা, টিকেল চাকমা, উথোয়াই মং মারমা, মিলন কান্তি চাকমা, ধর্মকীর্তি চাকমা, ধনঞ্জয় তঞ্চঙ্গ্যা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিঝু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু, সাংক্রান- ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে ১০ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত তিন দিনের অনুষ্ঠানমালায় রয়েছে শোভাযাত্রা, খেলা ও ফুল ভাসানোসহ নানান আয়োজন।
এর মধ্যে, ১০ এপ্রিল (সোমবার) সকাল সাড়ে ১১টায় রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গন থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমী অভিমুখে শোভাযাত্রা শুরু হবে। বিকেল ৩টায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সন্ধ্যা ৬টায় আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ হবে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে।
১১ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সকাল ১০টায় ‘আদিবাসী’ জুম্ম খেলাধুলা, বিকেল ৩টায় বলি খেলা ও সন্ধ্যা ৬টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে রাঙামাটি মারী স্টেডিয়ামে।
১২ এপ্রিল (বুধবার) সকাল সাড়ে ৬টায় রাজবন বিহার পূর্বঘাটে ফুল নিবেদন (ফুল ভাসানো) করা হবে গঙ্গা দেবীর উদ্দেশে।