শিজক রিপোর্ট
বান্দরবান: শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকাল থেকে বান্দরবানের সঙ্গে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও ঢাকার সড়ক যোগাযোগ সচল হলেও এখনো দুইটি উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
বান্দরবান-থানচি সড়কের চিম্বুক-নীলগিরি মধ্যবর্তী পাতুই পাড়া এলাকায় প্রায় একশ’ মিটার সড়ক ধসে যাওয়ায় থানচি উপজেলার সঙ্গে বান্দরবান সদরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। রুমা উপজেলার সড়কের ওপরও পাহাড় ধসে পড়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এদিকে, গত বুধবার থেকে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় বান্দরবান শহরসহ নিম্নাঞ্চলের পানি নেমে গিয়েছে। তবে পানি নামার সঙ্গে বেড়েছে মাত্রাহীন দুর্ভোগ। ভেসে উঠছে বন্যার ভয়াবহ ক্ষতচিহ্ন।
বান্দরবান জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, বন্যা পরিস্থিতির কারণে বান্দরবান জেলায় এক সপ্তাহে আটজনের মৃত্যু ও ১৭জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার থেকে বান্দরবান পৌরসভা, লামা ও আলীকদমে ভ্রাম্যমাণ ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে সুপেয় পানির সংকট নিরসন করেছে জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই)।
আগামীকাল (শনিবার) থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা যাবে বলে শিজক ডটকমকে জানিয়েছেন ডিপিএইচই’র নির্বাহী প্রকৌশলী অনুপম দে।
বান্দরবান জেলাপ্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, ‘জেলায় বন্যায় ১৫ হাজার ৮০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত, ৩ হাজার ৫৭৮টি পরিবার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ও ৮ হাজার ২৫৩ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১ লাখ ২১ হাজার ১০৫টি পরিবার পানিবন্দি ছিল এবং পাহাড় ধসে ২ হাজার ৮৭৮টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।‘
জেলাপ্রশাসক জানান, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় ৭ উপজেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। দুর্গতদের আশ্রয়নের জন্য জেলায় ২০৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৭টি উপজেলায় ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ৮৫ মেট্রিন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।’