শিজক রিপোর্ট
রাঙামাটি: পার্বত্য জেলা রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়ন থেকে সড়ক পথে কাউখালী যেতে হয় ৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে। ঘাগড়া বাজার থেকে ২.৬৮ কিলোমিটার গেলেই চোখে পড়বে এমন দৃষ্টিনন্দন পাহাড়।
পাহাড়ি এই এলাকাটির নাম চেলাছড়া। রয়েছে পাঁকা সড়ক। বনাঞ্চলে ঘেরা পাহাড়ি এই এলাকায় রয়েছে বসতবাড়ি, দোকানপাট। প্রায় দশ বছর আগে ৪ কোটি টাকা সরকারি অর্থায়নে নির্মিত হয়েছিল ৮০ শয্যার বহুতল ছাত্রাবাস, যা প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকার ছেলেমেয়েদের জন্য হতো সহায়ক, কিন্তু খাবার সরবরাহ সংক্রান্ত জটিলতায় ছাত্রাবাস উদ্বোধনের পর থেকেই অব্যবহৃত।
পাহাড়ের উঁচু কোন স্থান থেকে দেখলে মনে হবে যেন গহীন অরণ্য; যার পেছনেই রয়েছে সুবিশাল পাহাড়, এক নজরে চমৎকার এক দেখার জায়গা।
চমৎকার এই পাহাড়ি এলাকাটি ধরে নিয়মিত যাতায়াত করেন কাউখালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের হিসাবরক্ষক হাসান কবীর। তিনি বলেন, “আমার বাড়ি রাঙামাটি শহরের তবলছড়িতে। এ পথেই প্রতিদিন বাইকে অফিস যাওয়া আসা করি। ফিরতি পথসহ ৫৮ কিলোমিটার গাড়ি চালাতে হয়। অফিস থেকে পরিশ্রান্ত হয়ে ফেরার পথে প্রতিদিন এই জায়গাটাই দাঁড়ায় কিছু সময়। চারপাশের সুন্দর দৃশ্যগুলো দেখে ক্লান্তিটাই দূর হয়ে যায়। আবার ফিরতে শুরু করি ঘরে।”
নির্দিষ্ট ও চেনা জায়গাগুলো ছাড়াও পার্বত্য রাঙামাটির পরতে পরতে রয়েছে মনোমুগ্ধকর এমন বহু পাহাড়ি অঞ্চল, যা অত্র অঞ্চলের অধিবাসী তো বটেই, ভ্রমণ পিপাসু প্রতিটা মানুষকেই আকৃষ্ট করবে সহজে।