শিজক ডেস্ক
রাঙামাটি: বর্ষা মৌসুমের মত সবুজের সমারোহের উপস্থিতি, মেঘ-পাহাড়ের মিতালী দেখা না গেলেও ভ্রমণপিপাসু পর্যটকের কমতি ছিল না।
রুইলুই পাহাড়ের সড়কের দু’ধারে সারি সারি ভাসমান দোকান, রিসোর্ট-কটেজের নানান রঙের দৃষ্টিনন্দন স্থাপনায় মাথার ওপর খোলা আকাশ ছাড়া দু’পাশের প্রাণ প্রকৃতি দেখাও যখন দুরহ ক্রমশঃ তখনই যেন ভ্রমণ পিপাসুরা ভীড় জমান হেলিপ্যাড সংলগ্ন স্থানটিতে।
মূলত, হেলিপ্যাড থেকেই চারপাশের শত-শত ছোট বড় পাহাড়ের ঢেউ, প্রকৃতি বেশ উপভোগের। অদূরের কংলাক পাহাড়ের চূড়ায় যাতায়ত যেন আগের চেয়ে অনেক সহজতর বলেই ভাষ্য স্থানীয়দের। সেখানেও রয়েছে নানান রিসোর্ট-কটেজ।
নির্ধারিত সময় ও অর্থের বিনিময়ে ঐতিহ্যবাহী পোশাকে ছবি তুলতে পর্যটকদের সমাগম দেখা যায় বেশ খানিকটা এলাকা জুড়ে গড়ে উঠা লুসাই গ্রামে।
সূর্যাস্তের আগে-পর হতেই হেলিপ্যাডের নিচের রাস্তার ধার ঘেঁষে সারিবদ্ধ স্ট্রীটফুডের ভ্যান, রুইলুই পাহাড়ের দোকানপাট ও স্থাপনাগুলোর আলোকসজ্জায় রাস্তায় হাঁটলে বুঝার উপায় নেই যেন ভূপৃষ্ট থেকে ১৮০০ ফুট উচ্চতায় কোন উপত্যকা নাকি নাগরিক জীবনের জঞ্জালে ভরা কোন অলিগলি।
প্রকৃতির ওপর ক্রমাগত শোষণ হলেও ঘুরতে আসা অনেকের কাছে সান্তনা। আগেকার দুর্গম সাজেক নানান কিছুর পরও দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মেঘের উপত্যকা ‘সাজেক ভ্যালি’ ঘুরে ছবিগুলো তুলেছেন অজয় মিত্র