শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪

৫ শতাংশ ‘আদিবাসী’ কোটার দাবিতে রাঙামাটিতে মানববন্ধন

শিজক ডেস্ক
রাঙামাটি: মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা ও সকল উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫ শতাংশ ‘আদিবাসী’ কোটা চালু করার দাবিতে রাঙামাটিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় জেলা শহরের নিউমার্কেট এলাকায় যৌথ মানববন্ধন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন।

পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জিকো চাকমার সঞ্চালনা এবং হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ম্রানুচিং মারমার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি সুমন চাকমা, শহর শাখার সভাপতি মিলন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শান্তি দেবী তঞ্চঙ্গ্যা, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নিপন ত্রিপুরা এবং সভাপতি সুমন মারমা। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিসিপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি থোয়াইক্যজাই চাক।

মানববন্ধনে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নিপন ত্রিপুরা বলেন, “ভাষা কতগুলো কেবল বুলি সর্বস্ব নয়, ভাষা একটি জাতির সংস্কৃতি ও আত্মপরিচয়ের স্বাক্ষর। ভাষার মর্যাদার জন্য এদেশে আন্দোলন হয়েছে। অথচ এদেশে ‘আদিবাসীদের’ ভাষা আজ অসংরক্ষিত ও হুমকির মুখে। ‘আদিবাসীদের’ ভাষা নিয়ে রাস্তাঘাটে অফিস আদালতে বিভিন্ন জায়গায় ব্যঙ্গ—বিদ্রুপ এবং তুচ্ছ—তাচ্ছিল্য করা হচ্ছে। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গঠিত স্বাধীন দেশে ‘আদিবাসী’ ভাষা সংরক্ষণ ও স্বীকৃতির জন্য লড়াই করতে হচ্ছে তার জন্য সরকার এবং রাষ্ট্রের লজ্জা হওয়া উচিত।”

তিনি বলেন, “শিক্ষা সংবিধানে মৌলিক অধিকার, সরকার তা নিশ্চিত করতে বাধ্য কিন্তু ‘আদিবাসী’ শিক্ষার্থীরা আজও মায়ের ভাষায় পড়তে পারছে না, লিখতে পারছে না এবং শিখতে পারছে না। বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসীদের’ পরিচয় এবং জীবনধারা নিয়ে অনেক অসঙ্গতিপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। বাঙালি শিক্ষার্থীদের মাঝে ‘আদিবাসীদের’ নিয়ে ভুল ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে তা প্রত্যাহার করে স্ব স্ব জাতির বিশেযজ্ঞ নিয়ে যথাযথ ও সঠিক তথ্য তুলে ধরতে হবে। তাছাড়া বৈষম্যমূলক শিক্ষাব্যবস্থার কারণে ‘আদিবাসী’ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়ছে। তারা নিজস্ব মাতৃভাষায় শিক্ষা নিতে পারছেনা এবং গুনগত মানের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।”

সভাপতির বক্তব্যে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ম্রানু চিং মারমা বলেন, “আদিবাসীদের স্ব স্ব মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা ও সকল উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫ শতাংশ ‘আদিবাসী’ কোটা চালু করার জন্য সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।” (বিজ্ঞপ্তি)

সম্পর্কিত খবর

সোশ্যাল মিডিয়া

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ খবর