প্রান্ত রনি, শিজক রিপোর্ট
রাঙামাটি: ২৯৯ নম্বর রাঙামাটি আসনে ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দীপংকর তালুকদারের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নির্বাচনে লড়ে আসছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সহ-সভাপতি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ঊষাতন তালুকদার। ২০১৪ এর নির্বাচনে প্রথমবারই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দীপংকরকে হারিয়ে বিজয়ী হন ঊষাতন তালুকদার। যদিও একাদশের ভোটে ফের আসনটিতে আওয়ামী লীগের দীপংকর তালুকদার বিজয়ী হন। ২০১৪ সালে ঊষাতন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাতি প্রতীক ও ২০১৮ সালে সিংহ প্রতীকে নির্বাচন করেছিল। দুইবারের লড়াইয়ে দীপংকর ও উষাতন অর্থাৎ দুই তালুকদার সমানে সমান।
২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় ঊষাতন তালুকদার নিজের পেশায় উল্লেখ করেছিলেন ব্যবসা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য। ২০১৮ সালের একাদশের নির্বাচনে ব্যবসা ও সংসদ সদস্য এবং ২০২৪ সালের দ্বাদশের হলফনামাতে শুধুমাত্র ব্যবসা রেখেছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তিনি বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন ১২ লাখ টাকা দেখিয়েছেন। তন্মধ্যে কৃষি খাতে ৭ লাখ এবং ব্যবসা খাতে ৫ লাখ টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজের নামে নগদ ৫ লাখ টাকা, ব্যাংকে জমাকৃত ৫ হাজার, ইলেকট্রনিকস্ সামগ্রী হিসেবে ৩ লাখ টাকা এবং আসবাবপত্রে ৩ লাখ টাকা দেখিয়েছেন। স্ত্রীর নামে নগদ ১ লাখ টাকা ৮ ভরি স্বর্ণ বাবাদ ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা উল্লেখ করেছেন। অন্যদিকে, স্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজের নামে ১০ একর কৃষি জমির দাম ১ লাখ টাকা, অন্যান্যখাতে ৮ লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে কোনো স্থাবর সম্পদ নেই। শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ (অনার্স) সম্পন্ন এই প্রার্থীর নামে বর্তমানে দুইটি সিআর মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঊষাতনের হলফনামায় উল্লেখ ছিল- তার বাৎসরিক আয় ৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। এরমধ্যে কৃষিখাতে ২ লাখ টাকা, ব্যবসা খাতে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য ও অন্যান্য বাবদ ২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজের নামে নগদ ৫ লাখ টাকা, ব্যাংকে জমাকৃত ৬ হাজার ২০৫ টাকা, ইলেকট্রনিকস্ সামগ্রী হিসেবে ৪৫ হাজার টাকা এবং আসবাবপত্রে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা দেখিয়েছেন। স্ত্রীর নামে নগদ ৫০ হাজার টাকা, ৪ ভরি স্বর্ণ বাবাদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা উল্লেখ করেছেন। স্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজের নামে ১০ একর কৃষি জমির দাম ১ লাখ টাকা, অন্যান্যখাতে ৮ লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে ৯ একর জমি বাবদ ৩ লাখ টাকা।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার বাৎসরিক আয় ৩৬ লাখ ২৯ হাজার ২০ টাকা। এরমধ্যে কৃষিখাতে ৪ লাখ টাকা, ব্যবসা খাতে ৬ লাখ টাকা এবং সংসদ হিসেবে ২৬ লাখ ২৯ হাজার ২০ টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজের নামে নগদ ৩ লাখ টাকা, ব্যাংকে জমাকৃত ৭ হাজার ১৫৭ টাকা, স্থায়ী আমানত ৩০ হাজার, ইলেকট্রনিকস্ সামগ্রী হিসেবে ৩ লাখ টাকা এবং আসবাবপত্রে ৩ লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে নগদ ১ লাখ টাকা, ব্যাকে জমাকৃত ৫ হাজার ৭৪৪ টাকা, স্থায়ী আমানত ১১ লাখ ৯৯ হাজার ৮৩ টাকা, ৮ ভরি স্বর্ণ বাবাদ ২ লাখ ১০ হাজার টাকা উল্লেখ করেছেন। স্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজের নামে ১০ একর কৃষি জমির দাম ১ লাখ টাকা, অন্যান্যখাতে ৮ লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে ৯ একর জমি বাবদ ৩ লাখ টাকা উল্লেখ করেছেন।
বাৎসরিক আয় হিসাবে ৫ বছরের ব্যবধানে ঊষাতন তালুকদারের আয় কমেছে দুই তৃতীয়াংশ। দ্বাদশের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি ঊষাতন তালুকদার পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন; কাপ্তাই বাঁধের পানি নিয়ন্ত্রণ, আত্মকর্মসংস্থান ও স্বাস্থ্যসেবা; গণমুখী ও পরিবেশমুখী উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।