শিজক ডেস্ক
রাঙামাটি: খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে পৃথক ঘটনায় বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৫ মে) ভোরে এসব ঘটনা ঘটে।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বজ্রপাত থেকে বসতঘরে আগুন লেগে মা-ছেলের মৃত্যু হয়; মাটিরাঙা ও রামগড়ে আরও দুজন মারা গেছেন। রাঙামাটির কাউখালীতেও বজ্রপাতে একস্কুল ছাত্রীকে ঘরের ভেতরেই মারা যায়; একই ঘটনায় পরিবারের আরও চারজন আহত হন।
খাগড়াছড়ির নিহতরা হলেন- দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের মধ্যবেতছড়ি এলাকার মো. ছাদেক আলীর স্ত্রী হাসিনা বেগম (৩০) ও ছেলে হানিফ মিয়া (৮)। রামগড় উপজেলার দুর্গম হাজাছড়া এলাকার কংজ্র মারমার ছেলে গনজ মারমা (৫০) ও মাটিরাঙা উপজেলার বেলছড়ি ইউনিয়নের শশী কার্বারি পাড়ার সমিকা ত্রিপুরা (২৬)।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম বলেন, “বজ্রপাতে একটি টিনের ঘরে মা ও ছেলের শরীর পুড়ে তারা মারা গেছেন। ঘটনার সময় গহকর্তা বাড়িতে ছিলেন না। খবর পেয়ে দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিভিয়ে লাশ দুইটা উদ্বার করে।”
দীঘিনালা থানার ওসি মোহাম্মদ নূরুল হক জানান, “ব্রজপাতে ঘরে আগুন লেগে মা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।”
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে বজ্রপাতে দুই নারীসহ তিনজনের মৃত্যু
রামগড় উপজেলার হাজাছড়া পাড়া কার্বারি (গ্রামপ্রধান) চাইলাপ্রু মারমা জানান, “বজ্রপাতের সময় বাড়ির উঠানে বাঁধা গরু গোয়ালঘরে আনতে গিয়ে গরুসহ গনজ মারমার মৃত্যু হয়েছে।”
জানা গেছে, নিহত গনজ ওই এলাকার কংজ্র মারমার ছেলে। একই ঘটনায় তাঁর দুটি গবাদিপশুর মৃত্যু হয়।
মাটিরাঙা থানার ওসি কৃষ্ণ কমল দে জানিয়েছেন, “বেলছড়ি ইউনিয়নের শশী কার্বারি পাড়ায় বজ্রপাতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।”
এদিকে, রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় বজ্রপাতে বসতঘরের ভেতরেই অর্শা চাকমা (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা রঙ্গিলা চাকমা, দাদা যদু কুমার চাকমা, দাদী বনলতা চাকমা ও মামা স্বপন চাকমা।
অর্শা চাকমা উপজেলার ফটিকছড়ি ইউনিয়নের মানিকছড়ি পাড়ার অরুণ চাকমার মেয়ে। সে বর্মাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী।
কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব চন্দ্র কর ও ফটিকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান উষাতন চাকমা মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত ১৮ এপ্রিল রাঙামাটির লংগদু ও বরকল উপজেলায় বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়। ২ মে রাঙামাটি সদর উপজেলা ও বাঘাইছড়িতে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ৫ মে’সহ এ নিয়ে রাঙামাটিতে এক মাসের মধ্যেই বজ্রপাতে মারা গেলেন ছয়জন।