শিজক ডেস্ক
বান্দরবান: বান্দরবানে ‘অপহৃত ৭ বম পাড়াবাসী’কে গুলি করে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) বিকালে ইউপিডিএফ’র সহসভাপতি নতুন কুমার চাকমা এক বিবৃতিতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে ‘ঠাণ্ডা মাথার গণহত্যা’ অভিহিত করেছেন।
বিবৃতিতে ইউপিডিএফ সহসভাপতি বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামে একটি বিশেষ গোষ্ঠী ঠ্যাঙারে বাহিনীর সন্ত্রাসীদের দিয়ে ‘দুই পক্ষের গোলাগুলি’র নাটক সাজিয়ে অপহৃত ৭ জনকে হত্যা করেছে। অবশ্য পুলিশ ৮ জনের লাশ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে।”
স্থানীয় সূত্রের বরাতে ইউপিডিএফ নেতা নতুন দাবি করেন, “গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে ৬টার সময় নব্যমুখোশ (ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক) ও সংস্কারপন্থী জেএসএস’র (জনসংহতি সমিতি-এমএন লারমা) ২০-২৫ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী জুরভারাং পাড়ায় প্রবেশ করে ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে পাড়াবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে সন্ত্রাসীরা একে-একে পাড়ার ২২ জন ধরে বেঁধে রাখে। সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী ও কলেজ পড়ুয়া কয়েকজন শিক্ষার্থীও রেহাই পায়নি। এসময় সন্ত্রাসীরা ৭৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধকে লাথি দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।”
আরও পড়ুন: বান্দরবানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৮ জন নিহত
ইউপিডিএফের দাবি, সন্ত্রাসীরা ২২ জনকে অস্ত্রের মুখে খামতাং পাড়ায় নিয়ে গিয়ে সেখানে একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্দি করে রাখে। এরপর সেখান থেকে ১৫ জনকে ছেড়ে দিলেও বাকী ৭ জনকে ছেড়ে না দিয়ে ‘ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে’।
হত্যার শিকার হওয়া ৭ জনের নাম জানায় ইউপিডিএফ। জানা গেছে। এরা হলেন- ভান দু বম, সাং খুম, সান ফির থাং বম, বয় রেম বম, জাহিম বম, লাল লিয়ান ঙাক বম ও লাল ঠা জার বম। এরমধ্যে ৬ জন জুরভারাং পাড়ার ও ১ জন পানখিয়াং পাড়ার বাসিন্দা বলে জানায় সংগঠনটি।
বিবৃতিতে নতুন কুমার চাকমা বলেন, “ঘটনায় এলাকার লোকজন ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলা সদরে আশ্রয় নিয়েছেন।”
ইউপিডিএফ নেতা বিবৃতিতে অবিলম্বে হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি এবং সাধারণ জনগণের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন ও নিরীহ মানুষ হত্যা বন্ধের দাবি জানান।
ইউপিডিএফ’র প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের দায়িত্বরত নিরন চাকমার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।