লোকাল করেসপনডেন্ট
কাপ্তাই: রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী কয়লার ডিপু হরি মন্দিরের সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব ও শ্রী শ্রী হরি বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার ১৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান পরিদর্শনে আসেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। শুক্রবার (৩ মার্চ) বিকালে তিনি হরি মন্দির পরিদর্শন করেন এবং আলোচনা সভায় অংশ নেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘কেপিএম কয়লারডিপু শ্রীশ্রী হরিমন্দির একটি ঐতিহ্যবাহী মন্দির। এই মন্দিরের উন্নয়নে আগেও যেমন বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হয়েছে তা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। সমাজের উন্নয়নে ধর্মীয় শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমেই একটি সুন্দর সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। তাই আগামী প্রজন্মকে ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কেননা সমাজ নিরাপদ থাকলে রাষ্ট্র নিরাপদ থাকবে। আর সমাজকে নিরাপদ রাখতে হলে অবশ্যই ধর্মীয় শিক্ষার প্রয়োজন।’
সভায় হরিমন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কেপিএমের প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বপন কুমার সরকারের সভাপতিত্বে ও কাপ্তাই প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্তের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চিংকিউ রোয়াজা, রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য দীপ্তিময় তালুকদার, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমন দে, কাপ্তাই উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি দীপক কান্তি ভট্টাচার্য্য, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ ধর পিন্টু, উপজেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ সভাপতি সুবর্ণ ভট্টচার্য্য, সাধারন সম্পাদক উৎপল ভট্টচার্য্য, কেপিএম সিবিএ সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু প্রমুখ। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবের আহ্বাবায়ক রতন মল্লিক।
প্রসঙ্গত, কাপ্তাইয়ের ঐতিহ্যবাহী কেপিএম শ্রীশ্রী হরি মন্দিরের ১০ দিনব্যাপি সূবর্ণজয়ন্তী উৎসব ১ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে। এদিকে, উৎসবকে ঘিরে মন্দিরসহ আশেপাশে এলাকায় বৈদিক যুগের নানা দেবদেবীর মূর্তি প্রতিষ্ঠা এবং বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। এ উৎসব দেখতে হাজারও ভক্তের আনাগোনায় মুখরিত হয়ে ওঠেছে উৎসবস্থল।